প্রশ্ন
আমার একবন্ধু বলে, তাবলিগ জামাতের দাওয়াত দেওয়ার পদ্ধতি ঠিক নয়। কারণ, তারা মুসলমানদেরকে দ্বীনের দাওয়াত দিয়ে থাকে। অথচ দাওয়াত দেওয়া উচিত অমুসলিমদেরকে। আমি জানতে চাচ্ছি, তার এ বক্তব্য কি সঠিক?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
না, আপনার বন্ধুর বক্তব্যটি সঠিক নয়। অমুসলিমরা যেভাবে দাওয়াতের মুখাপেক্ষী, মুসলিমরাও তেমনি মুখাপেক্ষী। কারণ, সকল মুসলমানের জন্য দ্বীনের সকল বিধান জানা সম্ভব নয়। তাছাড়া দ্বীন থেকে দূরে সরে যাওয়ার কারণে অনেক মুসলমানের ঈমান একবারেই দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে অনেক মুসলমানের দ্বীনের জরুরি বিষয়গুলোও জানা থাকে না। এবং আমলের প্রতিও তেমন আগ্রহ থাকে না।
তাই দ্বীনের দাওয়াত দেওয়ার মাধ্যমে তাদেরকেও দ্বীনের প্রতি আগ্রহী করে তোলা এবং তাদেরকে দ্বীনের বিভিন্ন বিষয় জানানো জরুরি। কুরআনের ভাষ্য থেকেও এমনটি বুঝা যায়।
আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজিদে ইরশাদ করেন,
وَ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ وَ الۡمُؤۡمِنٰتُ بَعۡضُہُمۡ اَوۡلِیَآءُ بَعۡضٍ ۘ یَاۡمُرُوۡنَ بِالۡمَعۡرُوۡفِ وَ یَنۡہَوۡنَ عَنِ الۡمُنۡکَرِ وَ یُقِیۡمُوۡنَ الصَّلٰوۃَ وَ یُؤۡتُوۡنَ الزَّکٰوۃَ وَ یُطِیۡعُوۡنَ اللّٰہَ وَ رَسُوۡلَہٗ ؕ اُولٰٓئِکَ سَیَرۡحَمُہُمُ اللّٰہُ ؕ اِنَّ اللّٰہَ عَزِیۡزٌ حَکِیۡمٌ
‘আর মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীরা একে অপরের বন্ধু, তারা ভাল কাজের আদেশ দেয় আর অন্যায় কাজ থেকে নিষেধ করে, আর তারা নামাজ কায়েম করে, যাকাত প্রদান করে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে। এদেরকে আল্লাহ শীঘ্রই দয়া করবেন, নিশ্চয় আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।’ [সূরা তাওবা, আয়াত: ৭১]
অন্য আয়াতে ইরশাদ হচ্ছে,
فَلَوۡ لَا نَفَرَ مِنۡ کُلِّ فِرۡقَۃٍ مِّنۡہُمۡ طَآئِفَۃٌ لِّیَتَفَقَّہُوۡا فِی الدِّیۡنِ وَ لِیُنۡذِرُوۡا قَوۡمَہُمۡ اِذَا رَجَعُوۡۤا اِلَیۡہِمۡ لَعَلَّہُمۡ یَحۡذَرُوۡنَ
‘অতঃপর তাদের প্রতিটি দল থেকে কিছু লোক কেন বের হয় না, যাতে তারা দ্বীনের গভীর জ্ঞান আহরণ করতে পারে এবং আপন সম্প্রদায়ের নিকট যখন প্রত্যাবর্তন করবে, তখন তাদেরকে সতর্ক করতে পারে, যাতে তারা (গুনাহ থেকে) বেঁচে থাকে।’ [সূরা তওবা, আয়াত: ১২২]
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আমাদের জানামতে তাবলীগ জামাত অমুসলিমদের মাঝেও দাওয়াতের কাজ করে থাকে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم