প্রশ্ন
বর্তমানে তাবলীগ জামাত কাফেরদের দাওয়াত দেওয়ার বদলে মুসলমানদের মাঝে দাওয়াত দিয়ে থাকে। শরিয়তে কি এর কোনো প্রমাণ আছে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
রাসূল (সা.) সর্বশেষ নবী হওয়ার কারণে মানুষের হেদায়েত, সংশোধন, দ্বীনের দাওয়াত ও তালিমের এ গুরু দায়িত্ব তাঁর উম্মতের উপর ন্যস্ত হয়েছে। দাওয়াতের ক্ষেত্রে যেভাবে নিজ পরিবার পরিজন প্রধান্য পায়, ঠিক সেভাবে অমুসলিমদের দাওয়াত দেওয়ার আগে মুসলমানদের মাঝে দাওয়াত দেওয়ার প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ, মুসলমানদের আমলের মাধ্যমে যদি ইসলামের সৌন্দর্য প্রকাশ না পায় তাহলে অমুসলিমরা ইসলাম গ্রহণে আগ্রহী হবে না। তাছাড়া মুসলমানদের মাঝে যদি দাওয়াত বাকি না থাকে তাদের ঈমান-আমল সংশোধনের ফিকির না থাকে তাহলে ধীরে ধীরে এরাই কিংবা এদের পরবর্তী প্রজন্ম আবার বেদ্বীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
একারণেই মুসলমানদের মাঝে দ্বীনের দাওয়াত দেওয়ার গুরুত্ব রয়েছে। তাছাড়াও ইতিহাসের কিতাবে আছে,উমর (রা.) এর খেলাফতকালে তিনি একদল সাহাবায়ে কেরামকে বসরা ও আরেকদল সাহাবায়ে কেরামকে শাম এই উদ্দেশ্যেই প্রেরণ করেছিলেন। (হায়াতুস সাহাবা ৩/১৯৫)
আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজিদে ইরশাদ করেন,
کُنۡتُمۡ خَیۡرَ اُمَّۃٍ اُخۡرِجَتۡ لِلنَّاسِ تَاۡمُرُوۡنَ بِالۡمَعۡرُوۡفِ وَ تَنۡہَوۡنَ عَنِ الۡمُنۡکَرِ وَ تُؤۡمِنُوۡنَ بِاللّٰه
‘তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মত,যাদেরকে মানুষের জন্য বের করা হয়েছে। তোমরা ভাল কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে বারণ করবে, আর আল্লাহর প্রতি ঈমান পোষণ করবে।’ [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১১০]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم