প্রশ্ন
কেউ যদি আল্লাহর কাছে কারও বিপদের জন্য দোয়া করে তাহলে কি তা কবুল হবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
দোয়া একটি ভালো জিনিস। এটি একটি ইবাদত। তাই দোয়ার মধ্যে কারও জন্য অকল্যাণের দোয়া করা কিছুতেই সমীচীন নয়। আর কেউ এমন অযথা দোয়া করলেও তা কবুল হয় না।
হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَدْعُو بِدَعْوَةٍ لَيْسَ فِيهَا إِثْمٌ وَلَا قَطِيعَةُ رَحِمٍ إِلَّا أَعْطَاهُ اللَّهُ بِهَا إِحْدَى ثَلَاثٍ إِمَّا أَنْ تُعَجَّلَ لَهُ دَعْوَتُهُ وَإِمَّا أَنْ يَدَّخِرَهَا لَهُ فِي الْآخِرَةِ وَإِمَّا أَنْ يَصْرِفَ عَنْهُ مِنْ السُّوءِ مِثْلَهَا قَالُوا: إِذًا نُكْثِرُ قَالَ: اللَّهُ أَكْثَر
আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মুসলমান যখন অন্য কোনো মুসলমানের জন্য দোয়া করে, যার মধ্যে কোনোরূপ গুনাহ বা আত্মীয়তা ছিন্ন করার কথা থাকে না, আল্লাহ তাআলা উক্ত দোয়ার বিনিময়ে তাকে তিনটির যেকোনো একটি দান করে থাকেন।
১. তার দোয়া দ্রুত কবুল করেন
২. তার প্রতিদান আখেরাতে প্রদান করার জন্য রেখে দেন অথবা
৩. তার থেকে অনুরূপ আরেকটি কষ্ট দূর করে দেন।
একথা শুনে সাহাবিগণ (রা.) উৎসাহিত হয়ে বললেন, ‘তাহলে আমরা বেশি বেশি দোয়া করবো। রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, আল্লাহ তার চাইতে আরও বেশি দোয়া কবুলকারী। [মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ১১১৩৩]
এই হাদিস থেকে বুঝা যায়, যে দোয়ায় কোনো গুনাহ বা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা নেই সেটি কবুল করা হয়। সুতরাং হিংসাবশত কারও জন্য অকল্যাণের দোয়া করলে তা কবুল হবে না।
হ্যাঁ, কেউ যদি মাজলুম হয়ে কারও জন্য বদ দোয়া করে তাহলে তা কবুল করা হয়।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم