প্রশ্ন
ইসলামের দৃষ্টিতে মানবরচিত আইনের মাধ্যমে বিচার করা বৈধ হবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
আল্লাহ তাআলা মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তাঁর ইবাদত করার জন্য। সুতরাং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহ প্রদত্ত বিধি-বিধান মেনে চলতে হবে। বিচারকার্য পরিচালনার ক্ষেত্রেও আল্লাহর বিধান মেনে চলতে হবে। কোনো মানবরচিত আইনের মাধ্যমে-যা আল্লাহর বিধানের বিপরীত- বিচারকার্য পরিচালনা করা যাবে না।
আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজিদে ইরশাদ করেন,
إِنِ ٱلۡحُكۡمُ إِلَّا لِلَّهِ
‘হুকুম বা বিধান একমাত্র আল্লাহরই।’ [সূরা ইউসুফ, আয়াত: ৪০]
অন্য আয়াতে ইরশাদ হচ্ছে,
أَفَحُكۡمَ ٱلۡجَٰهِلِيَّةِ يَبۡغُونَۚ وَمَنۡ أَحۡسَنُ مِنَ ٱللَّهِ حُكۡمٗا لِّقَوۡمٖ يُوقِنُونَ
‘তারা কি তবে জাহেলিয়াতের বিধান চায়? দৃঢ়-বিশ্বাসীগণের জন্য আল্লাহর চেয়ে উত্তম বিধানদাতা আর কে হতে পারে?’ [সূরা মায়েদা, আয়াত: ৫০]
আয়াতে জাহেলিয়াতের বিধান বলতে আল্লাহ প্রদত্ত বিধান ছাড়া সকল বিধানকে বুঝানো হয়েছে।
অন্য আয়াতে আল্লাহ প্রদত্ত আইন অনুসারে যারা বিচারকার্য পরিচালনা করে না, তাদেরকে কাফের, ফাসেক ও জালেম বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে,
وَمَن لَّمۡ يَحۡكُم بِمَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ فَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡكَٰفِرُونَ
‘আর যারা আল্লাহর অবতীর্ণ আইন অনুসারে বিচারকার্য সম্পাদন করে না, তারা কাফির।’ [সূরামায়েদা, আয়াত: ৪৪]
وَمَن لَّمۡ يَحۡكُم بِمَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ فَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلظَّٰلِمُونَ
‘আর যারা আল্লাহর অবতীর্ণ আইন অনুসারে বিচারকার্য সম্পাদন করে না, তারা যালিম।’[সূরামায়েদা, আয়াত: ৪৫]
وَمَن لَّمۡ يَحۡكُم بِمَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ فَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡفَٰسِقُونَ
‘আর যারা আল্লাহর অবতীর্ণ আইন অনুসারে বিচারকার্য সম্পাদন করে না, তারা ফাসেক।’ [সূরামায়েদা, আয়াত: ৪৭]
হাদিস শরিফে এসেছে,
‘রাসূল (সা.) বলেন, আল্লাহই হলেন বিধান-দাতা, আর তাঁর নিকট থেকেই বিধান নিতে হবে।’[সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৪৯৫৫]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم