প্রশ্ন
আমাদের এলাকায় বৌদ্ধরা রমযান মাসে গরিবদের মাঝে ইফতারি বিতরণ করে থাকে। আমি জানতে চাচ্ছি, এই খাবার দিয়ে ইফতারি করলে কি কোনো ক্ষতি হবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
উত্তম হলো, একজন মুসলমান সে নিজে ইফতারির ব্যবস্থা করবে বা কোনো মুসলমান ইফতারির আয়োজন করলে তাতে শরিক হবে। তবে কোনো অমুসলিম যদি ইফতারির আয়োজন করে এবং তাতে কোনো হারাম জিনিসের সংমিশ্রণ না থাকে, তাহলে তা গ্রহণ করতে ও খেতে কোনো সমস্যা নেই। সুতরাং আপনার এলাকার বৌদ্ধরা যে ইফতারির আয়োজন করে তা হারাম না হলে তা দ্বারা ইফতার করা যাবে।
তবে এ ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে যেন, ইফতারের লোভ দেখিয়ে কিংবা অন্য কোনো মাধ্যমে মুসলমানদেরকে ঈমানহারা করতে না পারে।
আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজিদে ইরশাদ করেন,
قُل لَّا أَجِدُ فِي مَا أُوحِيَ إِلَيَّ مُحَرَّمًا عَلَىٰ طَاعِمٍ يَطْعَمُهُ إِلَّا أَن يَكُونَ مَيْتَةً أَوْ دَمًا مَّسْفُوحًا أَوْ لَحْمَ خِنزِيرٍ فَإِنَّهُ رِجْسٌ أَوْ فِسْقًا أُهِلَّ لِغَيْرِ اللَّهِ بِهِ ۚ فَمَنِ اضْطُرَّ غَيْرَ بَاغٍ وَلَا عَادٍ فَإِنَّ رَبَّكَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
‘বল, আমার প্রতি যে প্রত্যাদেশ হয়েছে, তাতে আহারকারী যা আহার করে, তার মধ্যে আমি কিছুই নিষিদ্ধ পাই না। তবে মৃত প্রাণী, বহমান রক্ত ও শূকরের গোশত; কেননা তা অপবিত্র। অথবা (যবেহকালে) আল্লাহ ছাড়া অন্যের নাম নেওয়ার কারণে যা অবৈধ। তবে কেউ অবাধ্য না হয়ে এবং সীমালংঘন না করে তা গ্রহণে বাধ্য হলে, তোমার প্রতিপালক অবশ্যই অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ [সূরা আল আনআম, আয়াত: ১৪৫]
হাদিস শরিফে এসেছে,
আনাস বিন মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, এক ইয়াহুদি মহিলা রাসূল (সা.) এর কাছে একটি বিষযুক্ত ভেড়া নিয়ে আসে এবং তিনি সে ভেড়া থেকে খেয়েছেন।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ২৪৭৪; সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২১৯০]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم