প্রশ্ন
আমাদের স্কুলের বার্ষিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহিদদের সম্মানে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। আমিও এক মিনিট নীরবতা পালন করি। এখন আমি জানতে চাচ্ছি, আমার এ কাজটি কি শরিয়ত মোতাবেক হয়েছে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
আপনার এ কাজটি শরিয়ত সম্মত হয়নি। কারণ, কারো সম্মানে দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করার রীতি ইসলামি শরিয়তে নেই। বরং এটি বিজাতীয় সংস্কৃতি। তাই এসকল কর্মকাণ্ড থেকে বেঁচে থাকা জরুরি।
আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজিদে ইরশাদ করেন,
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى أَوْلِيَاءَ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاءُ بَعْضٍ وَمَنْ يَتَوَلَّهُمْ مِنْكُمْ فَإِنَّهُ مِنْهُمْ إِنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ
‘হে মুমিনগণ, ইয়াহূদী ও নাসারাদেরকে তোমরা বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। আর তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে নিশ্চয় তাদেরই একজন। নিশ্চয় আল্লাহ যালিম কওমকে হিদায়াত দেন না।’ [সূরা মায়েদা, আয়াত: ৫১]
হাদিস শরিফে এসেছে,
‘কায়েস ইবনে আবু হাযেম (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন আবু বকর (রা.) আহমাস গোত্রের যয়নব নামের এক নারীর নিকট গেলেন। তিনি গিয়ে দেখতে পেলেন, নারীটি কথাবার্তা বলছে না। তিনি (লোকজনকে) জিজ্ঞেস করলেন, নারীটির এ অবস্থা কেন, কথাবার্তা বলছে না কেন? তারা তাঁকে জানালেন, এ নারী নীরব থেকে থেকে হজ্জ পালন করে আসছেন। আবু বকর (রা.) তাঁকে বললেন, কথা বল, কেননা এটা হালাল নয়। এটা জাহেলি যুগের কাজ। তখন নারীটি কথাবার্তা বলল।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩৮৩৪]
অন্য হাদিসে এসেছে,
عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ
‘ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি যার সাদৃশ্য গ্রহণ করে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৪০৩১]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم