প্রশ্ন
আমরা দেখি, মানুষের যখন প্রবল ধারণা হয় যে, অমুক ব্যক্তি আর বাঁচবে না তখন তাকে কালেমা পড়তে বলে। কিন্তু আমার এক আত্মীয় থেকে শুনলাম, মুমূর্ষু ব্যক্তিকে কালেমা পড়তে বলবে না। বরং তার সামনে জোরে জোরে কালেমা পড়তে থাকবে। আমার প্রশ্ন হলো, এক্ষেত্রে আসলে মূল নিয়ম কোনটি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
মৃত্যুর সময় মুখ দিয়ে কালেমা উচ্চারিত হওয়া অনেক বড় সৌভাগ্যের নিদর্শন।
হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তির শেষ কথা ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ হবে সে জান্নাতে যাবে।’ [সুনানে আবু দাউদ ২/৪৪৪]
তাই সকলেই চেষ্টা করে তার প্রিয়জনের সর্বশেষ কথা যেন হয় ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’। তবে স্মরণ রাখতে হবে, মৃত্যুর সময় সকল মানুষই তার জীবনের সবচেয়ে কঠিন অবস্থায় থাকে। তখন তার হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। ফলে কে কী বলছে তাও সে ভালোভাবে বুঝে উঠতে পারে না।
অপর দিকে মৃত্যুর সময় একজন মানুষকে জাহান্নামী বানানোর জন্য শয়তান তার সর্ব শক্তি ব্যয় করে। তো এমন হওয়া অস্বাভাবিক নয় যে, কোনো ব্যক্তি তাকে কালেমা পড়তে বলল আর সে নিষেধ করে দিল। তখন তার প্রতি অন্যান্য মানুষের খারাপ ধারণা সৃষ্টি হতে পারে।
এ কারণে উলামায়ে কেরাম বলেন, মৃত্যুর সময় মুমূর্ষু ব্যক্তিকে সরাসরি কালেমা পড়তে না বলে তার সামনে কালেমা পড়তে থাকবে। এতেই আশা করা যায়, মুমূর্ষু ব্যক্তি কালেমা পড়ে নিবে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم