প্রশ্ন
বিভিন্ন দেশে দেখা যায় আঞ্চলিক স্বাধীনতা রয়েছে। ইসলাম কী এ বিষয়টিকে সমর্থন করে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
যুগের চাহিদা অনুযায়ী রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলকে নির্বাহী স্বাতন্ত্র্য প্রদান করা যেতে পারে। স্বয়ং রাসূল (সা.) এর যুগে বিভিন্ন অঞ্চলে এই নির্বাহী স্বাতন্ত্র্য বিদ্যমান ছিল। যখন মক্কা বিজয় হয়, তখন রাসূল (সা.) আত্তাব ইবনে উসাইদ (রা.) কে সেখানকার হাকিম নিযুক্ত করেন। বাহরাইন বিজিত হলে, আরী হাযরামি (রা.) কে হাকিম নিযুক্ত করা হয়। ইয়ামান বিজিত হবার পর ইয়ামান এলাকা যেহেতু বড় ছিল, তাই রাসূল (সা.) ইয়ামানকে দু’টি ব্যবস্থাপনা ইউনিটে বিভক্ত করে আবু মূসা ও মু’আজ ইবনে জাবাল (রা.) কে হাকিম বানিয়ে পাঠিয়ে দেন। এই ইউনিটদ্বয়ের প্রত্যেকটিকে মিখলাফ বলা হত।
হাদিসে এসেছে,
عَنْ أَبِيْ بُرْدَةَ قَالَ بَعَثَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَبَا مُوْسَى وَمُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ إِلَى الْيَمَنِ قَالَ وَبَعَثَ كُلَّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا عَلَى مِخْلَافٍ قَالَ وَالْيَمَنُ مِخْلَافَانِ
‘আবু বুরদা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সা.) আবু মূসা এবং মু‘আয ইবনে জাবাল (রা.)-কে ইয়ামানে পাঠালেন। বর্ণনাকারী বলেন, তৎকালে ইয়ামানে দু’টি প্রদেশ ছিল। তিনি তাদের প্রত্যেককে ভিন্ন ভিন্ন প্রদেশে পাঠিয়ে দিলেন।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৪৩৪১]
‘ইবনে হাজার আসকালানি (রহ.) বলেন, ইয়ামানের ক্ষেত্রে মিখলাফ শব্দটি ব্যবহৃত সেই অর্থে, যেই অর্থে অন্য এলাকায় একলীম (সুবা) তথা প্রদেশ শব্দটি ব্যবহৃত হয়।’ [মুকাদ্দামা ফাতহুল বারি ১/১৮৬]
খোলাফায়ে রাশেদিনের আমলে যখন ইসলামি রাষ্ট্রের পরিধি বৃদ্ধি পায়, তখনও তারা প্রত্যেক প্রদেশের জন্য স্বতন্ত্র্য শাসক নিযুক্ত করেছিলেন।
সুতরাং এ থেকে বুঝা যায়, আঞ্চলিক স্বাধীনতাকে ইসলাম নিষেধ করে না।
আসসিয়াসাতুল ইসলামিয়্যাহ পৃ: ৩১৯
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم