প্রশ্ন
শবে কদরের জন্য নির্ধারিত কোনো ইবাদত আছে কী? না যেকোনো ইবাদত তাতে করা যাবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
শবে কদরে যেকোনো ইবাদত করা যাবে। তবে, রাসূল (সা.) রমযানের শেষ দশকে ইতেকাফ, নামায, কুরআন তেলাওয়াত, দোয়া ও জিকিরে খুব বেশি সময় দিতেন। আগে থেকেই এর জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতেন। অন্যদেরও এসকল কাজে উদ্বুদ্ধ করতেন।
রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ صَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ وَمَنْ قَامَ لَيْلَةَ الْقَدْرِ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ
‘আবু হুরাইরা (রা.) রাসূল (সা.) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি ঈমান সহকারে এবং প্রতিদানের আশায় লাইলাতুল ক্দরে নামায পড়বে তার অতীতের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে।’[সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৯০১; সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৭৬০]
অন্য হাদিসে এসেছে,
عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا دَخَلَ الْعَشْرُ شَدَّ مِئْزَرَهُ وَأَحْيَا لَيْلَهُ وَأَيْقَظَ أَهْلَهُ
‘আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন রমাযানের শেষ দশক আসত তখন রাসূল (সা.) তাঁর লুঙ্গি কষে নিতেন (বেশি বেশি ইবাদতের প্রস্তুতি নিতেন) এবং রাত্র জেগে থাকতেন ও পরিবার-পরিজনকে জাগিয়ে দিতেন।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ২০২৪]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم