প্রশ্ন
মুহররম মাসের দশম তারিখে বিশেষ কোনো আমল আছে কী? কুরআন-হাদিসের আলোকে জানতে চাই।
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
কুরআনে সুস্পষ্ট ভাষায় মুহররম মাসের দশম তারিখের কোনো আমলের কথা উল্লেখ করা হয়নি। তবে বিভিন্ন হাদিস থেকে বুঝা যায়, রাসূল (সা.) এদিন নিজে রোযা রাখার ব্যাপারে খুব গুরুত্বারোপ করতেন, পাশাপাশি সাহাবাদেরকেও রোযা রাখতে উদ্বুদ্ধ করতেন। রাসূল (সা.) যখন জানতে পারেন যে, ইহুদিরাও এদিন রোযা রাখে তখন তাদের সাদৃশ্য পরিত্যাগকরণার্থে দশম তারিখের একদিন আগে বা পরে মিলিয়ে দুইদিন রোযা রাখার কথা বলেন।
রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন,
ما رأيت النبي صلى الله عليه وسلم يتحرى صيام يوم فضله على غيره إلا هذا اليوم يوم عاشوراء وهذا الشهر يعني رمضان
‘হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘আমি রাসূল (সা.)-কে রমযান ও আশুরায় যেরূপ গুরুত্বের সঙ্গে রোযা রাখতে দেখেছি অন্য সময় তা দেখিনি।’ [সহিহ বুখারি ১/২১৮]
অন্যত্র ইরশাদ হচ্ছে,
صوموا عاشوراء وخالفوا فيه اليهود، صوموا قبله يوما أو بعده يوما
‘তোমরা আশুরার রোযা রাখ এবং ইহুদীদের সাদৃশ্য পরিত্যাগ করে; আশুরার আগে বা পরে আরো একদিন রোযা রাখ।’ [মুসনাদে আহমাদ ১/২৪১]
আরেক হাদিসে এসেছে,
‘হযরত আলী রা.কে এক ব্যক্তি প্রশ্ন করেছিল, রমযানের পর আর কোন মাস আছে, যাতে আপনি আমাকে রোযা রাখার আদেশ করেন? তিনি বললেন, এই প্রশ্ন রাসূল (সা.)-এর নিকট জনৈক সাহাবী করেছিলেন, তখন আমি তাঁর খেদমতে উপস্থিত ছিলাম। উত্তরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘রমযানের পর যদি তুমি রোযা রাখতে চাও, তবে মুহররম মাসে রাখ। কারণ, এটি আল্লাহর মাস। এ মাসে এমন একটি দিন আছে, যে দিনে আল্লাহ তাআলা একটি জাতির তওবা কবুল করেছেন এবং ভবিষ্যতেও অন্যান্য জাতির তওবা কবুল করবেন।’ [সুনানে তিরমিযি ১/১৫৭]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم