প্রশ্ন
রাসূল (সা.) গনীমতের মাল কীভাবে বণ্টন করতেন?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
রাসূল (সা.) গণীমতের মালকে পাঁচ ভাগে ভাগ করে চার ভাগ যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুজাহিদদের দিয়ে দিতেন। পদাতিক বাহিনীকে এক ভাগ এবং অশ্বারোহীকে তিন ভাগ। আর অবশিষ্ট এক ভাগকে আবার পাঁচ ভাগ করে নিজের ও পরিবারের খরচের জন্য এক ভাগ রেখে বাকি অংশ মুসলমানদের মাঝে সম্প্রীতি স্থাপনে, কল্যাণকর কাজে, ধনী-গরিব, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলকে দান করতেন।
আল্লাহ তাআলা কুরআনে ইরশাদ করেন,
وَاعْلَمُوا أَنَّمَا غَنِمْتُمْ مِنْ شَيْءٍ فَأَنَّ لِلَّهِ خُمُسَهُ وَلِلرَّسُولِ وَلِذِي الْقُرْبَى وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينِ وَابْنِ السَّبِيلِ إِنْ كُنْتُمْ آمَنْتُمْ بِاللَّهِ وَمَا أَنْزَلْنَا عَلَى عَبْدِنَا يَوْمَ الْفُرْقَانِ يَوْمَ الْتَقَى الْجَمْعَانِ وَاللَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
`আরো জেনে রাখ যে, যুদ্ধে যা কিছু তোমরা (গনীমত) লাভ কর তার এক-পঞ্চমাংশ আল্লাহ, তাঁর রাসূলের, রাসূলের নিকটাত্মীয়, পিতৃহীন এতীম, দরিদ্র এবং পথচারীদের জন্য; যদি তোমরা আল্লাহতে ও সেই জিনিসে বিশ্বাসী হও যা ফায়সালার দিন (বদরে) আমি আমার বান্দার প্রতি অবতীর্ণ করেছিলাম; যেদিন দুই দল পরস্পরের সম্মুখীন হয়েছিল, এবং আল্লাহ সর্ব বিষয়ে শক্তিমান।’ [সূরা আনফাল, আয়াত: ৪১]
তাফসিরে মাযহারিতে এই আয়াতের অধীনে বলা হয়েছে,
‘হাদিস বিশারদ এবং ইমামগণের ঐক্যমত এই যে, রাসূল (সা.) গণীমতের মালকে পাঁচ ভাগে ভাগ করতেন। চার ভাগ দিয়ে দিতেন যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদেরকে। অবশিষ্ট এক পঞ্চমাংশকে তিনি পুনরায় ভাগ করতেন পাঁচটি ভাগে। এক ভাগ রাখতেন নিজের জন্য এবং পরিবার পরিজনের জন্য। ঐ অর্থ দিয়ে সংসারের ব্যয় নির্বাহ করতেন। জেহাদের জন্য ক্রয় করতেন তরবারী ও অশ্ব। অন্য অংশগুলো খরচ করতেন মুসলমানদের মধ্যে সম্প্রীতি স্থাপনের উদ্দেশ্যে। দান করতেন ধনী-নির্ধন, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে বনি হাশেম ও বনি আব্দুল মুত্তালিবকে। কখনো এতিম, মিসকিন ও মুসাফিরকে।’ [তাফসিরে মাযহারি ৪/৬৩]
সুনানে নাসাঈ, হাদিস: ৪১৪৩; মুসনাদে আহমাদ ৫/৩১৯
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم