প্রশ্ন
সূর্যগ্রহণের নামাজ এবং সাধারণ নামাজের মধ্যে কোনো পার্থক্য আছে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
হ্যাঁ, সূর্যগ্রহণের নামাজ এবং সাধারণ নামাজের মধ্যে বড় কোনো পার্থক্য না থাকলেও সামান্য কিছু পার্থক্য রয়েছে। সাধারণ নামাজের চেয়ে সালাতুল কুসুফ বা সূর্যগ্রহণের নামাজ কিছুটা দীর্ঘায়িত হয়। এবং কোনো কোনা বর্ণনা অনুযায়ী সূর্যগ্রহণের নামজে প্রতি রাকাতে এক রুকুর পরিবর্তে দুই রুকু করে করা হয়। হাদিস শরিফে এসেছে-
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘নবী (সা.)-এর জীবদ্দশায় একবার সূর্যগ্রহণ হয়। তখন তিনি মসজিদে গমন করেন। বর্ণনাকারী বলেন: লোকেরা তাঁর পেছনে সারিবদ্ধ হল। তিনি তাকবীর দিলেন (আল্লাহু আকবার বললেন)। তারপর রাসূল (সা.) দীর্ঘ তেলাওয়াত করলেন। এরপর তাকবীর বললেন এবং দীর্ঘক্ষণ রুকুতে থাকলেন। এরপর ‘সামি’আল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলে দাঁড়ালেন এবং সিজদায় না গিয়েই আবার দীর্ঘক্ষণ তেলাওয়াত করলেন। তবে তা প্রথম তেলাওয়াতের চেয়ে কম ছিল।
তারপর তিনি ‘আল্লাহু আকবার’ বলে দীর্ঘ একটি রুকু করলেন; তবে তা প্রথম রুকুর চেয়ে কম ছিল।
তারপর তিনি ‘সামি’আল্লাহু লিমান হামিদাহ, রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ’ বললেন।
এরপর সিজদা করলেন। অতঃপর তিনি পরবর্তী রাকাতেও অনুরূপ করলেন।
এভাবে চার সিজদায় চার রাকাত পুর্ণ করলেন।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ১০৪৬]
অন্য হাদিসে এসেছে-
عن أبي بكرة قال :كنا عند النبي صلى الله عليه و سلم فانكسفت الشمس فقام إلى المسجد يجر رداءه من العجلة فقام إليه الناس فصلى ركعتين كما تصلون
আবু বাকরা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমরা রাসূল (সা.) এর নিকট অবস্থান করছিলাম। এমতাবস্থায় সূর্যগ্রহণ হলো। তখন রাসূল (সা.) চাদর টানতে টানতে দ্রুত মসজিদে ছুটে গেলেন। এটি দেখে লোকেরা তার নিকট জড়ো হয়ে গেল। অতঃপর তিনি দুই রাকাত নামাজ পড়লেন যেভাবে তোমরা নামাজ পড়।’ [সুনানে নাসায়ী, হাদিস: ৫০০]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم