প্রশ্ন
সরকারি বা বেসরকারি সুদী সমিতিতে যারা চাকরি করে তাদের উপার্জিত টাকা হালাল না হারাম? তারা সেই উপার্জিত টাকা থেকে যদি কাউকে হাদিয়া দেয় তাহলে তা গ্রহণ করা জায়েজ হবে কি?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
শরীয়তের দৃষ্টিতে সুদের লেনদেন একটি বড় ধরনের গুনাহ। এমনকি সুদী লেনদেনে কোনো প্রকার সহযোগিতা করাও হারাম।
হাদিস শরিফে এসেছে, হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসূল (সা.) সুদ গ্রহীতা, দাতা ও সুদী কারবারের লেখক এবং সুদী লেনদেনের সাক্ষী— সবার ওপর লানত করেছেন।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৪১৩৮]
সুতরাং সুদভিত্তিক ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠানে যারা চাকরি করে; গুনাহের কাজে সহযোগিতা করার দরুন তারাও গুনাহগার হবে এবং এর বিনিময়ে প্রাপ্ত বেতনও হারাম হবে।
সে অর্থ দ্বারা কাউকে খাওয়ালে বা হাদিয়া দিলে জেনেশুনে তা গ্রহণ করা জায়েয হবে না। অবশ্য যদি তার অন্যান্য হালাল উপার্জন বা হালাল অর্থও থাকে এবং তার পরিমাণ হারামের চেয়েও বেশি হয় তাহলে সে দাওয়াত বা হাদিয়া দিলে তা গ্রহণ করার অবকাশ রয়েছে।
যদি কোনো কারণে সুদ গ্রহণকারীর সুদের টাকা থেকে কোনো কিছু গ্রহণ করতে বাধ্য হয় তাহলে পরবর্তীতে ঐ পরিমাণ টাকা সদকা করে দিবে।
বাদায়েউস সানায়ে ৬/৮৫; ফাতাওয়া আলমগিরী ৪/২৮৭
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم