প্রশ্ন
আমি শুনেছি, কেয়ামতের পূর্বে বড় বড় অনেকগুলো আলামত প্রকাশিত হবে। জানতে চাই, সেগুলো কী কী?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
কেয়ামতের নির্দিষ্ট সময় কোনো মানুষ জানে না। এর জ্ঞান কেবল আল্লাহ তাআলারই কাছে। তবে নবী কারীম (সা.) কেয়ামতের বড় বড় কিছু আলামত উল্লেখ করে গিয়েছেন। এ আলামতগুলো সংঘটিত হওয়ার পর খুব দ্রুতই কেয়ামত সংঘটিত হয়ে যাবে। সেগুলো হলো,
১। ধোঁয়া।
২। দাজ্জাল।
৩। বিশেষ জন্তু
৪। সূর্যাস্তের স্থান হতে সূর্যোদয়।
৫। ঈসা (আ.) অবতরণ।
৬। ইয়াজুজ-মাজুজ।
৭,৮,৯। পূর্ব-পশ্চিম ও আরব উপদ্বীপে তিনটি ভূমিধ্বস।
১০। ইয়েমেনে আগুন যা মানুষকে হাশরের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাবে
হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ حُذَيْفَةَ بْنِ أَسِيدٍ الْغِفَارِىِّ قَالَ اطَّلَعَ النَّبِىُّ -صلى الله عليه وسلم- عَلَيْنَا وَنَحْنُ نَتَذَاكَرُ فَقَالَ « مَا تَذَاكَرُونَ ». قَالُوا نَذْكُرُ السَّاعَةَ. قَالَ « إِنَّهَا لَنْ تَقُومَ حَتَّى تَرَوْنَ قَبْلَهَا عَشْرَ آيَاتٍ ». فَذَكَرَ الدُّخَانَ وَالدَّجَّالَ وَالدَّابَّةَ وَطُلُوعَ الشَّمْسِ مِنْ مَغْرِبِهَا وَنُزُولَ عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ -صلى الله عليه وسلم- وَيَأْجُوجَ وَمَأْجُوجَ وَثَلاَثَةَ خُسُوفٍ خَسْفٌ بِالْمَشْرِقِ وَخَسْفٌ بِالْمَغْرِبِ وَخَسْفٌ بِجَزِيرَةِ الْعَرَبِ وَآخِرُ ذَلِكَ نَارٌ تَخْرُجُ مِنَ الْيَمَنِ تَطْرُدُ النَّاسَ إِلَى مَحْشَرِهِمْ
হুযাইফা বিন আসিদ (রা.) বর্ণনা করেন যে, একবার রাসূল (সা.) আমাদেরকে কথাবার্তা বলতে দেখে বললেন: তোমরা কী নিয়ে আলাপ-আলোচনা করছ? সাহাবীগণ বলল: আমরা কেয়ামত নিয়ে আলোচনা করছি। তখন তিনি বললেন: নিশ্চয় দশটি আলামত সংঘটিত হওয়ার আগে কেয়ামত হবে না। তখন তিনি ধোঁয়া, দাজ্জাল, বিশেষ জন্তু, সূর্যাস্তের স্থান হতে সূর্যোদয়, ঈসা বিন মরিয়মের অবতরণ, ইয়াজুজ-মাজুজ, পূর্ব-পশ্চিম ও আরব উপদ্বীপে তিনটি ভূমি ধ্বস এবং সর্বশেষ ইয়েমেনে আগুন যা মানুষকে হাশরের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাবে উল্লেখ করেন।
সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৭৪৬৭
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم