প্রশ্ন
হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, কোনো সৎ সন্তান মা-বাবার প্রতি দয়ার দৃষ্টিতে একবার তাকালে আল্লাহ তাআলা তার জন্য প্রত্যেক দৃষ্টির বিনিময়ে একটি মকবুল হজের সওয়াব দান করেন। এখন আমার জানার বিষয় হলো, যদি কোনো সন্তান প্রবাস থেকে ভিডিও কলের মাধ্যমে মা-বাবার সাথে কথা বলে এবং ভিডিও কলের দ্বারা মা-বাবার প্রতি রহমতের দৃষ্টি দেয় তাহলেও কি সে উক্ত সওয়াব পাবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
উল্লিখিত হাদিসটি শুআবুল ঈমান গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে। হাদিসটির আরবি পাঠ নিম্নরূপ:
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَا مِنْ وَلَدٍ بَارٍّ يَنْظُرُ نَظْرَةَ رَحْمَةٍ إِلَّا كَتَبَ اللهُ بِكُلِّ نَظْرَةٍ حَجَّةً مَبْرُورَةً “، قَالُوا: وَإِنْ نَظَرَ كُلَّ يَوْمٍ مِائَةَ مَرَّةٍ؟ قَالَ: ” نَعَمْ، اللهُ أَكْبَرُ وَأَطْيَبُ “
হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যখন কোনো পিতা-মাতার ভক্ত সন্তান নিজের পিতা মাতার প্রতি রহমতের দৃষ্টিতে দেখে, আল্লাহ তাআলা তার প্রতিটি দৃষ্টির বদৌলতে তার জন্য [আমলনামায়] একটি হজ্জ্বে মাবরূর [কবুল হজ্ব] এর সওয়াব দান করেন। সাহাবারা আরজ করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! যদি দৈনিক একশবার দৃষ্টি করে? তিনি বললেন, হ্যাঁ, তারও। আল্লাহ মহান ও পবিত্র। [শুআবুল ঈমান, হাদিস: ৭৪৭২]
হাদিসটি যদিও যয়ীফ তবে ফাযায়েলের ক্ষেত্রে এ ধরনের যয়ীফ হাদিস গ্রহণযোগ্য হয়ে থাকে।
উল্লিখিত হাদিসটির প্রকৃত উদাহরণ হলো, সরাসরি উপস্থিত হয়ে বাবা-মায়ের প্রতি রহমতের নজরে দৃষ্টিপাত করা। তবে উক্ত উদ্দেশ্যে ভিডিও কলের মাধ্যমে বাবা-মায়ের প্রতি দৃষ্টিপাত করলেও উল্লিখিত সওয়াব পাওয়ার আশা করা যায়।
অবশ্য অনুপস্থিত থাকাবস্থায় সন্তানের স্বাভাবিক কর্তব্য হলো বাবা-মায়ের জন্য
رب ارحمهما كما ربياني صغيرا
বা এ জাতীয় মাছুর দোয়ার মাধ্যমে তাদের জন্য দোয়া করা।
আল বাহরুর রায়েক-৩/১৭৮, রদ্দুল মুহতার-৩/৩৪
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم