প্রশ্ন
বর্তমানে ব্যভিচারের জন্য বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরনের শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে ইসলামে কী শাস্তি রয়েছে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
ইসলামে ব্যভিচারকে মারাত্মক অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। চাই, তা স্বেচ্ছায় হোক বা বলপূর্বক। কুরআন মাজিদে যে সকল অপরাধের শাস্তির কথা স্পষ্টভাবে নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে ব্যভিচারের শাস্তি অন্যতম।
ইসলামে ব্যভিচারের শাস্তি হলো, যদি ব্যভিচারী পুরুষ ও নারী অবিবাহিত হয় তাহলে একশত বেত্রাঘাত। আর যদি বিবাহিত হয় তাহলে পাথর মেরে মৃত্যুদণ্ড।
আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজিদে বলেন,
‘ব্যভিচারিণী নারী ব্যভিচারী পুরুষ, তাদের প্রত্যেককে একশ’ করে বেত্রাঘাত কর। আল্লাহর বিধান কার্যকর কারণে তাদের প্রতি যেন তোমাদের মনে দয়ার উদ্রেক না হয়, যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি ও পরকালের প্রতি বিশ্বাসী হয়ে থাকো। মুসলমানদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে।’ [সূরা নূর, আয়াত: ২]
এ ছাড়া হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেন ‘অবিবাহিত পুরুষ-নারীর ক্ষেত্রে শাস্তি একশ’ বেত্রাঘাত এবং এক বছরের জন্য দেশান্তর। আর বিবাহিত পুরুষ-নারীর ক্ষেত্রে একশ’ বেত্রাঘাত ও রজম (পাথর মেরে মৃত্যুদণ্ড)।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১৬৯০]
উল্লেখ্য, উপরোক্ত শাস্তি হলো যদি ব্যভিচার উভয়ের সম্মতিক্রমে হয়ে থাকে। পক্ষান্তরে যদি ব্যভিচার জোরপূর্বক হয়ে থাকে, যাকে আমরা ধর্ষণ বলে থাকি তাহলে যাকে বলপ্রয়োগ করা হয়েছে তার কোনো শাস্তি হবে না।
হাদিস শরিফে এসেছে, ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী কারিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ আমার উম্মতের ভুলবশত করা অপরাধ, ভুলে যাওয়া কাজ ও বল প্রয়োগকৃত বিষয় ক্ষমা করে দিয়েছেন।’ [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২০৪৫)
আততাশরীয়ুল জিনাইয়্যুল ইসলামী ২/৩৭৯-৩৮৫
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم