প্রশ্ন
আমরা জানি, ইন্টারনেটে বৈধ-অবৈধ অনেক কিছুই পাওয়া যায়। প্রশ্ন হলো, এ কারণে কি ইন্টারনেট ব্যবহার করা জায়েয হবে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
যে বিষয়গুলোর মধ্যে ভালো-খারাপ উভয়টির সংমিশ্রণ রয়েছে সে বিষয়গুলোকে এক কথায় উত্তর দেওয়া যায় না। ইন্টারনেটে ভালো-খারাপ উভয় দিকই আছে।
ইন্টারনেট হলো তথ্যের ভাণ্ডার। এখানে ভালো বিষয় যেমন আছে তেমনি অশ্লীল বিষয়ও রয়েছে। তাই এর হুকুম হবে ব্যবহারকারী হিসেবে।
যদি কেউ এটাকে অবৈধ কাজে ব্যবহার করে তাহলে তা তার জন্য হারাম হবে। আর যদি বৈধ ও দ্বীনী কাজে ব্যবহার করে তাহলে তা জায়েয হবে।
তবে যারা পুরোপুরি দ্বীনের উপর চলতে চায়, পরিপূর্ণ তাকওয়া অবলম্বন করতে চায়, নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে না পারে এবং ইন্টারনেটের এই পিচ্ছিল জগতে হোঁচট খাওয়ার আশঙ্কায় থাকে তাদের জন্য ইন্টারনেট থেকে দূরে থাকাই নিরাপদ। কারণ পাপের দরজা বন্ধ না করে পাপ থেকে বিরত থাকা খুবই কঠিন।
হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেন,
فَمَنِ اتَّقَى الشُّبُهَاتِ، اسْتَبْرَأَ لِدِينهِ وَعِرْضِهِ، وَمَنْ وَقَعَ فِي الشُّبُهَاتِ وَقَعَ في الحَرَامِ،
‘যে ব্যক্তি এই সন্দিহান বস্তুসমূহ হতে দূরে থাকবে, সে তার দ্বীন ও ইজ্জতকে বাঁচিয়ে নেবে এবং যে ব্যক্তি সন্দিহানে পতিত হবে (সন্দিগ্ধ বস্তু ভক্ষণ করবে), সে হারামে পতিত হবে।’ [সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫২]
তাই একান্ত প্রয়োজন না হলে ই্ন্টারনেট থেকে দূরে থাকাই কাম্য।
রদ্দুল মুহতার ৬/৩৫০; বুহুস ফী কাযায়া ফিকহিয়্যা মুআসারা ১/৩৫৯
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم