প্রশ্ন
আমার যাকাতের নেসাবের বছর পূর্ণ হয় ‘জুমাদাল আখেরা’ মাসে। কিন্তু আমি সাধারণত রমজান মাসে যাকাত আদায় করে থাকি। আমার ধারণা রমজান মাসে যাকাত আদায় করলে অধিক সওয়াব অর্জন করা যায়। এভাবে দুই মাস বিলম্বে যাকাত আদায় করলে শরিয়তের দৃষ্টিতে কি কোনো অসুবিধা আছে?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
জি, প্রশ্নে উল্লেখিত পদ্ধতিতে যাকাত আদায় করলে শরিয়তের দৃষ্টিতে অসুবিধা রয়েছে। অধিক সওয়াব অর্জনের আশায় রমজান পর্যন্ত যাকাত আদায় বিলম্ব করা যাবে না।
তবে যদি সামান্য কিছু সময় হয় তাহলে দেরি করা জায়েয হবে। উদাহরণত: বর্ষপূর্তি হয়েছে শাবান মাসের শেষার্ধে তাহলে রমযান পর্যন্ত বিলম্ব করতে কোনো অসুবিধা নেই।
সম্পদ নেসাব পরিমাণ পৌঁছলে এবং নেসাবের এক বছর পূর্ণ হলে অবিলম্বে যাকাত আদায় করা ওয়াজিব। কেউ যদি কোনো ওজর ছাড়া বিলম্ব করেন তাহলে তিনি গুনাহগার হবেন। অবশ্য ওজরের কারণে বিলম্ব করলে কোনো অসুবিধা নেই। যেমন- বছরপূর্তি হওয়ার সময় কোনো গরীব খুঁজে না পাওয়া অথবা তাদের কাছে পৌঁছানো সম্ভবপর না হওয়া কিংবা সম্পদ অনুপস্থিত থাকা ইত্যাদি।
ইমাম নববী বলেন: ‘যাকাত ওয়াজিব হলে ও পরিশোধ করার সক্ষমতা অর্জিত হলে অবিলম্বে যাকাত পরিশোধ করা ওয়াজিব, বিলম্ব করা নাজায়েয। ইমাম মালেক, আহমাদ ও জমহুর আলেম একই ধরনের অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
দলিল হচ্ছে আল্লাহ্র বাণী: وَآتُوا الزَّكَاةَ
অর্থ: ‘যাকাত দাও।’ [সূরা আল বাকারা, আয়াত: ৪৩]
এখানে নির্দেশসূচক ক্রিয়া ব্যবহার হয়েছে। এ ধরনের ক্রিয়া “অবিলম্বে” হুকুম পালন করার নির্দেশ করে।’ [শারহুল মুহায্যাব (৫/৩০৮) সমাপ্ত]
মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা, হাদিস: ১০৫৫৯; বাদায়েউস সানায়ে ২/৭৭)।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم