প্রশ্ন
আপনাদের পূর্বের এক প্রশ্নের উত্তরের মাধ্যমে রোজা ভঙ্গের গ্রহণযোগ্য ওজরসমূহ জানতে পেরেছি, আলহামদুলিল্লাহ। দ্বীনের এ খেদমত আঞ্জাম দেয়ার জন্য আপনাদেরকে জানাই আন্তরিক মুবারকবাদ। আমার আজকের প্রশ্ন হলো, দিনের শুরুতে বা মাঝে উক্ত গ্রহণযোগ্য কোনো কারণে যদি আমি রোজা ভঙ্গ করি, তাহলে কি দিনের বাকি অংশে আমার জন্য পানাহার থেকে বিরত থাকা আবশ্যক?
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
না, আপনি যদি বৈধ কোনো কারণে রোজা ভঙ্গ করে থাকেন, তাহলে দিনের বাকি অংশে পানাহার থেকে বিরত থাকা আবশ্যক নয়।
কোনো রুগী যদি অসুস্থতার কারণে দিনে রোজা ভঙ্গ করে আর দিন শেষ হওয়ার আগেই সুস্থ হয়ে যায়, তবে উক্ত দিনের বাকি অংশ তার জন্য পানাহার থেকে বিরত থাকার কোনো আবশ্যকতা নেই।
তেমনি কোনো মুসাফির যদি রোজা ভঙ্গ করে দিন থাকতেই সফর থেকে ফিরে আসে, তারও দিনের বাকি অংশ পানাহার থেকে বিরত থাকার আবশ্যকতা নেই। অনুরূপ বিধান ঋতুবতী নারীর।
কেননা এরা সবাই বৈধ এবং গ্রহণযোগ্য কারণে রোজা ভঙ্গ করেছে। আর শরিয়ত তাদেরকে রোজা ভঙ্গের অনুমতি প্রদান করে পুনরায় আবার তা আবশ্যক করবে না।
এর বিপরীত মাসআলা হচ্ছে, ‘রমাযান মাসের চাঁদ দেখা গেছে’ একথা যদি দিনের বেলায় প্রমাণিত হয়, তাহলে উক্ত খবর পাওয়ার সাথে সাথে রোজার নিয়ত করে নিতে হবে এবং দিনের অবশিষ্ট সময় রোজা অবস্থায় কাটাতে হবে।
উভয় মাসআলার পার্থক্য সুস্পষ্ট। কেননা দিনের বেলায় যখন রমাযান মাস শুরু হওয়ার কথা প্রমাণিত হয়েছে, তখন তাদের ওপর সে দিনের সিয়াম পালন করা ওয়াজিব হয়ে গেছে। কিন্তু না জানার কারণে তাদের ভুল গ্রহণযোগ্য এবং রোজা বিশুদ্ধ বলে গণ্য হবে।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم