প্রশ্ন
জামাতের সাথে মসজিদে তারাবির নামাজ আদায় করার দলিল সম্পর্কে জানতে চাই।
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
রাসূল (সা.) এর সুন্নাহ ও সাহাবায়ে কেরামের বিভিন্ন আমল থেকে জামাতের সাথে মসজিদে তারাবির নামাজ আদায় করার ব্যাপারে জানা যায়।
নিম্নে কিছু হাদিস ও আসার উল্লেখ করা হলো:-
১. আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, ‘রাসূলুল্লাহ (সা.) এক রাতে মসজিদে নামায আদায় করলেন। তাঁর পেছনে লোকেরাও নামায আদায় করল। পরবর্তী রাতেও তিনি নামায পড়লেন এবং লোকসংখ্যা আরো বেড়ে গেল। এরপরে তৃতীয় রাতে বা চতুর্থ রাতেও মানুষ জমায়েত হলো। কিন্তু রাসূলুল্লাহ(সা.) তাদের নিকট গেলেন না। যখন ভোর হলো তিনি বললেন: “তোমরা যা করেছ (অর্থাৎ জমায়েত হওয়াটা) তা দেখেছি। তবে তোমাদের নিকট আমি শধু এজন্য যাইনি যে, আমি ভয় করছিলাম, এ নামায তোমাদের উপর ফরয করে দেয়া হয় কিনা? এটি ছিল রমযান মাসে।’
এ হাদিসটি প্রসঙ্গে শাইখ উছাইমীন (রহ.) বলেন,
“নবী (সা.)-ই প্রথম ব্যক্তি যিনি মসজিদে জামাতের সাথে তারাবীর নামায পড়ার সুন্নত চালু করেন। এরপর তিনি উম্মতের উপরফরয হওয়ার ভয়ে তা ছেড়ে দেন। [মাজালিসু শাহরি রামাযান, পৃষ্ঠা: ২২]
২। আবু যার (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন:
“যে ব্যক্তি ইমামের সাথে ইমামের নামাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিয়াম (অর্থাৎ তারাবীর নামায) আদায় করবে, তার জন্য সম্পূর্ণ রাত কিয়াম করার সওয়াব লেখা হবে।” [সুনানে তিরমিযি ৮০৬, আলবানী ‘সহিহুত তিরমিযি’ গ্রন্থে হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন]
৩। আব্দুর রহমান বিন আব্দুল ক্বারী (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:
“রমযান মাসের কোনো এক রাতে আমি উমর বিন খাত্তাব (রা.) এর সাথে মসজিদে গেলাম। গিয়ে দেখতে পেলাম মানুষ বিভিন্ন দলে বিভক্ত। কেউ নিজে নিজে নামায পড়ছে। কারো ইমামতিতে কিছু লোক নামায পড়ছে। তখন উমর (রা.) বললেন: আমি মনে করি এদের সকলকে যদি একজন ক্বারীর পেছনে একত্রিত করি তাহলে সেটা উত্তম হবে। এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন এবং উবাই বিন কাব (রা.) এর অধীনে তাদেরকে একত্রিত করলেন।” [সহিহ বুখারি, হাদিস: ২০১০]
মহান আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم