প্রশ্ন
বিপদে-আপদে বিভিন্ন সময় আমরা পার্থিব উপায়-উপকরণ গ্রহণ করে থাকি। আল্লাহর উপর পরিপূর্ণ ভরসার বিপরীতে এ ধরনের উপায় উপকরণ গ্রহণ করা কি ঈমানের সাথে সাংঘর্ষিক? বিষয়টি বিস্তারিত বুঝিয়ে বললে উপকৃত হতাম।
উত্তর
بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما
পার্থিব উপায়-উপকরণ গ্রহণ করা আল্লাহরই নির্দেশ। সুতরাং এটি আল্লাহর উপর ভরসা করার বিপরীত কিছু নয়।
সকল ধরনের পার্থিব উপায়-উপকরণ গ্রহণ করার পরও অনেক মানুষ বিপদ থেকে উদ্ধার পায় না। তাই উপায়-উপকরণ গ্রহণ করার পর আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসা করতে হবে।
আল্লাহ চাইলে পার্থিব উপায়-উপকরণের মাধ্যমে মানুষকে মুক্তি দিতে পারে কিংবা চাইলে সকল উপায়-উপকরণ বিফল করে দিয়ে তাকে ধ্বংসও করে দিতে পারে। এ বিশ্বাস মনে ধারণ করাই হচ্ছে আল্লাহর উপর ভরসা করা কিংবা তাওয়াক্কুলের মূল বিষয়।
খন্দকের যুদ্ধে রাসূল (সা.) এর পরিখা খননসহ অন্যান্য বিভিন্ন বিষয় পার্থিব উপায়-উপকরণ গ্রহণের বিষয়টির উপর দালালত করে।
পবিত্র কুরআন মাজিদে ইরশাদ হচ্ছে,
وَأَعِدُّوا لَهُمْ مَا اسْتَطَعْتُمْ مِنْ قُوَّةٍ وَمِنْ رِبَاطِ الْخَيْلِ تُرْهِبُونَ بِهِ عَدُوَّ اللَّهِ وَعَدُوَّكُمْ
অর্থ: ‘আর তোমরা তাদের মুকাবিলার জন্য তোমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী শক্তি ও অশ্ব বাহিনী প্রস্তুত কর, তা দ্বারা ভয় দেখাবে আল্লাহর শত্রু ও তোমাদের শত্রুদেরকে।’ [সূরা আনফাল, আয়াত: ৬০]
অন্য এক স্থানে আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা বলছেন,
إِنَّا مَكَّنَّا لَهُ فِي الْأَرْضِ وَآتَيْنَاهُ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ سَبَبًا
অর্থ: ‘আমি তাকে যমীনে কর্তৃত্ব দান করেছিলাম এবং সববিষয়ের উপায়-উপকরণ দান করেছিলাম।’ [সূরা কাহাফ, আয়াত: ৮৪]
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
و الله تعالى أعلم بالصواب
وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم